আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে কথা বলেছেন অভিনেত্রী শমী কায়সার। তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষর্থীদের ওপর গরম পানি নিক্ষেপের কথা যে গ্রুপে (আলো আসবেই) বলা হয়েছিল, সেই গ্রুপে আমি ছিলাম না।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনে যে ধ্বংসযোগ্য চলছিল, সেসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছি, কাউকে অভিযোগ করে বক্তব্য দেইনি আমি। আর ওই সময় শেখ হাসিনা সরকারকে কোনো ধরনের সহায়তা করিনি। যখন ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিল, তখন আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বারবার সেটা চালুর কথা বলেছি।
বুধবার (৬ নভেম্বর) চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে এসব কথা বলেছেন অভিনেত্রী শমী কায়সার।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় থেকেই শমী কায়সার নানাভাবে বিতর্কিত হয়েছেন। তার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করারও অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের শমী কায়সারের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা হয়েছে।
গত ১৩ অক্টোবর মাগুরা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন মোহাম্মদ রেজওয়ান কবির নামে এক ব্যক্তি।
গত ১৪ আগস্ট দেশের ক্যাবের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন শমী কায়সার। নব্বই এর দশকের একজন নামকরা অভিনেত্রী ছিলেন তিনি।
শমী কায়সার আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন। এছাড়া ২০২৪-র নির্বাচনে ফেনী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের সমর্থন চেয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। তবে আসনটি থেকে মনোনয়ন পাননি তিনি।