Breaking News

খালে ভেসে উঠল মাদ্রাসা ছাত্রের ম-র-দেহ, শিক্ষকসহ ৫ জনের নামে মা-ম-লা

বরিশালের বানারীপাড়ায় খাল থেকে সৈয়দ আল-ইয়াসিন (১৪) নামে এক মাদরাসাছাত্রের মরদেহ উদ্ধারের আট দিন পর হত্যা মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও তিন শিক্ষকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

আট দিন পর বরিশাল জেলার বানারীপাড়া থানায় রোববার (২৭ অক্টোবর) রাতে নিহতের ভাই সৈয়দ আল রুম্মান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

আসামিরা হলেন, মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুর রব মিয়া, তার ছেলে সাইফুল্লাহ, শিক্ষক মো. রায়হান হাওলাদার, আহমাদুল্লাহ আহম্মদ ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলমগীর হাওলাদার।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোমিন উদ্দিন বলেন, মামলার তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ইয়াসিনকে পিটিয়ে ও লাথি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর লাশ গুম করতে খালে ফেলে দেওয়া হয়। আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মামলার বাদী বলেন, মাদরাসায় শিক্ষার্থীদের দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করানো হতো। ১৭ অক্টোবর ইয়াসিনকে দিয়ে মাটি টানানো হয়। কাজ করতে গিয়ে ইয়াসিন ক্লান্ত হয়ে বসে পড়ে। তখন মাদরাসার শিক্ষক রায়হান হাওলাদার তাকে এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়েছেন। এক পর্যায়ে ওর বুকে, চোখে ও মুখে সজোরে লাথি দেন। এতে ইয়াসিন দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে পড়ে সেখানে অজ্ঞান হয়ে মারা যায়। এরপর ইয়াসিনকে কাঁথা দিয়ে পেঁচিয়ে আব্দুর রব মিয়া, রায়হান হাওলাদার, আহমাদুল্লাহ আহম্মদসহ কয়েকজন ধরে গুদাম ঘরে রাখেন। পরে রাতে ইয়াসিনের লাশ গুম করতে নদীতে ফেলে দেয়। আমরা মাদরাসার ছাত্রদের মাধ্যমে এসব জানতে পেরে মামলা করেছি।

উল্লেখ্য, উপজেলার বড় চাউলাকাঠি গ্রামের মৃত মো. সিরাজুল হক মিয়ার ছেলে ইয়াসিনকে চলতি বছরের জুলাই মাসে সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের আউয়ার দারুল উলুম মাদরাসা ও এতিমখানার হেফজ বিভাগে ভর্তি করানো হয়। ১৭ অক্টোবর ইয়াসিনের মাকে ফোন দিয়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ জানান ইয়াসিনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ১৯ অক্টোবর মাদরাসার পাশের খালে শিশু ইয়াসিনের মরদেহ পাওয়া যায়।

Check Also

এবার যে চমক দেখালেন ড. ইউনূস!

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যায়। কিন্তু এর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *