Breaking News

কলা চাষের সহজ পদ্ধতি, এভাবে চাষ করলে দ্রুত হবে বাম্পার ফলন

আমাদের দেশে অনেক ফলের বাগান ব্যবসায়ীর রয়েছে। যারা ফল উৎপাদন করে আমাদের হাতের নাগালে সব ফল এনে দিতে সাহায্য করে। তেমনি একটি ফল হচ্ছে কলা। কলা আমাদের শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু এই ফল গুলো ফ্যাক্টরি তে নানা ভাবে প্রসেস করা হয়। যা আমাদের শরীরের ক্ষতি করতে পারে। অল্প কিছু টাকার জন্য ফ্যাক্টরি মালিক রা আমাদের স্বাস্থ্যের ঝুঁকির মুখে ফেলে দিচ্ছে। বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় কলা চাষ করা হয়।

কলা চাষ

কিন্তু যেভাবে কলা চাষ করলে এর ভালো ফলন হবে তা অনেকেরই অজানা। চলুন জেনে নেই কিভাবে কলা চাষ করলে ভালো ফলন এর পাশাপাশি ভাল আয় ও করা যাবে। সল্প পুঁজি নিয়ে একটি বাগানের মালিক হওয়া যায়। প্রথমে কলা গাছ রোপণ করতে হবে।

এক একটি কলা গাছ প্রাপ্তবয়স্ক হতে সময় লাগে প্রায় নয় মাস। এই কলা গাছ বড় করতে ফ্যাক্টরি মালিক বিভিন্ন ক্ষতিকারক রাসায়নিক সার ব্যবহার করে। গাছ বড় হবার পর গাছে যখন ফল ধরে তখন সে ফল কে এক বিশেষ পলিথিন এর মাধ্যমে ঢেকে দেওয়া হয়। যাতে করে পোকামাকড় এর উপরে আক্রমণ করতে না পারে।

এছাড়া ফলগুলো কি আকার বৃদ্ধি পাচ্ছে তার সবসময় পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়। এত বড় গাছ হওয়া সত্ত্বেও তারা নিয়মিত গাছের মধ্যে কীটনাশক রাসায়নিক সার ব্যবহার করে। এরপর যখন কলাগুলো পরিপক্ক হয়ে যায় তখন কথাগুলোর মাঝে এক বিশেষ প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়।

যাতে কলাগুলো এক একটি সাথে লেগে না যায়। সংঘর্ষের ফলে কলার মাঝে দাগ লেগে যেতে পারে,যার ফলে এর মার্কেট ভ্যালু কমে যাবে। তারপর কলাগুলো কেটে ফেলা হয় ।কেটে ফেলা কলাগুলো ফ্যাক্টরির উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে সারি আকারে নির্দিষ্ট স্থানে রাখা হয়।

এগুলো ফ্যাক্টরিতে পৌঁছনোর পর এগুলোকে ক্লোরিন যুক্ত পানি দ্বারা ওয়াশ করা হয়। ফলে এর মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু দূর হয়ে যায়। এরপর এগুলোকে পানির মধ্যে দিয়ে আরো ভালোভাবে পরিষ্কার করা হয়। পরবর্তীতে এর উপর এক বিশেষ ধরনের কেমিক্যাল প্রয়োগ করা হয় যাতে করে কলাগুলো অনেকদিন সতেজ থাকে। এর ফলে কলার রং ও সুন্দর হয়। এই প্রক্রিয়াটি শেষ হলে কলার মধ্যে কোম্পানির লোগো লাগিয়ে দেওয়া হয়। তারপর এগুলোকে বাক্সবন্দি করে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। এরপর চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন জায়গায় এ কলাগুলো বাজারজাত করে পাঠানো হয়।

যেহেতু এগুলোর মধ্যে বিশেষ ধরনের কেমিক্যাল দেওয়া তাই এগুলো বেশিদিন সংরক্ষণ রাখলেও এগুলো সতেজ ও সুন্দর থাকে। সহজে কেমিক্যাল দেওয়া ফলগুলো নষ্ট হয় না। এইভাবে ফ্যাক্টরি তে কলা প্রসেসিং করা হয় ।এভাবে চলতে থাকলে আমরা সুস্থ থাকার বদলে এই ফলগুলো খেয়ে খুব তাড়াতাড়ি অসুস্থ হয়ে পরব। শরীরে দেখা দিতে পারে নানা রকমের অসুখ-বিসুখ।

Check Also

এবার যে চমক দেখালেন ড. ইউনূস!

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যায়। কিন্তু এর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *