দেশের আটটি অঞ্চলে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এইদিকে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘দানার’ সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা ও জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে সাতক্ষীরায় কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সভায় জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। এজন্য জেলার ৮৮৭টি সাইক্লোন শেল্টার ও আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেখানে চার লাখ ৪৩ হাজার ৫০০ জন মানুষ নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় ৫ লাখ টাকার গোখাদ্য, ৫ লাখ টাকার শিশুখাদ্য, ৮০০ মেট্রিক টন চাল এবং নগগ সাত লাখ টাকা মজুত আছে। দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ-পরবর্তী সময়ে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর জন্য ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মাশরুবা ফেরদৌস, সাতক্ষীরায় দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর মেজর ইশতিয়াক হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মঈনুল ইসলাম মঈন, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমাদ, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল বাসেত প্রমুখ।