চলতি বছরে এইচএসসি ২০২৪ পরীক্ষা বর্তমানে আয়োজন করা হয়েছে, এখন পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে। কিন্তু ফলাফল প্রকাশ এর আগেই পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে ১ লাখ শিক্ষার্থী ফেল করবে।
কারা এই এক লাখ শিক্ষার্থী এমন প্রশ্নের যেভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে যে সকল তথ্য জানানো হয়েছে তা নিচে উপস্থাপন করা হলো।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরীক্ষার ফলাফল ইতিমধ্যে তৈরি করেছে। তবে যে সকল শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে আসেনি অর্থাৎ অনুপস্থিত ছিল,
যে সকল শিক্ষার্থী এইচএসসি ২০২৪ পরীক্ষায় বিভিন্ন কারণে বহিষ্কার হয়েছে, তাদের সরাসরি ফেল দেখানো হয়েছে।
এই সকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে তালিকা করে দেখা যায় প্রায় এক লক্ষ শিক্ষার্থী চলতি বছরের রেজাল্ট প্রকাশ করার আগেই ফেল করছে।
নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে প্রায় 96 হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষা অংশগ্রহণ করেনি, এছাড়া বহিষ্কার হয়েছে প্রায় ৩০০ জন শিক্ষার্থী।
এই সকল শিক্ষার্থী এইচএসসি ২০২৪ অনুপস্থিত থাকলে বা অথবা বহিষ্কার হলে সামগ্রিকভাবে তাদের ফেল আসবে। সেই হিসাব করে দেখা যায় ১ লাখ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় ফেল করেছে।
যেখানে আরো দেখা গেছে প্রথম দিনের পরীক্ষায় প্রায় ১৫০০০ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল, দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষায় 10000 শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল
ও তৃতীয় দিনের পরীক্ষায় ১৬ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষা অনুপস্থিত ছিল। চতুর্থ দিনের পরীক্ষায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষা অনুপস্থিত ছিল,
পঞ্চম দিনের পরীক্ষায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীদের অংশ অনুপস্থিত ছিল এবং ৬ তম দিনের পরীক্ষায় ১৩ হাজার শিক্ষার্থী করেছে অনুপস্থিত ছিল।
এছাড়া প্রায় কয়েকশো শিক্ষার্থী পরীক্ষা বিভিন্ন কারণে বহিষ্কার হয়েছে, সেই হিসেবে করে দেখা যায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় কয়েক হাজার
শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি এবং অনুপস্থিত ছিল বিভিন্ন কারণে। যাদের কিনা পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে
এবং তাদের আগামী বছর সকল বিষয়ে পরীক্ষা অংশগ্রহণ করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এইচএসসি ২০২৪ এর রেজাল্ট তৈরি করেছে।
তবে রেজাল্ট প্রকাশ করার পরবর্তীতে যে সকল শিক্ষার্থীর পরীক্ষার মধ্যে গাফিলতি পাবে অর্থাৎ যারা পরীক্ষা খারাপ
দিয়েছে তাদের আবার ফেলের সংখ্যা বাড়বে, ১ লক্ষ ২০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষা ফেল করতে পারে
অথবা এই সংখ্যা আরো বেশি বৃদ্ধি পেতে পারে। কারণ অনেক শিক্ষার্থী এইচএসসি ২০২৪ খারাপ দিয়েছে, বিশেষ করে ইংরেজি
এবং তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষা অনেকের খারাপ হয়েছে। তাদের পরীক্ষা সরাসরি ফেলে আসা সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে এখানে যদি শিক্ষার্থী ফেল করে তাকে শুধুমাত্র ওই সাবজেক্ট এই পরীক্ষা অংশগ্রহণ করতে হবে আগামী বছর ও সকল বিশেষ পরীক্ষা দিতে হবে না।